জামালপুরে বন্যা ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ৪ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৬৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পানির স্তর পরিমাপক আব্দুল মান্নান।
সকাল থেকে যমুনার পানি স্থির অবস্থায় রয়েছে। জামালপুরে যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদ নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থেকে বাহাদুরাবাদ্ ঘাট পয়েন্ট ৬৩ সেন্টিমিটার উপর প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলার ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, মাদারগঞ্জ, মেলান্দহ, সরিষাবাড়ি ও বকশীগঞ্জে এই ছয় উপজেলায় বন্যার পানি বৃদ্ধির ফলে ৩২টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন প্রায় ৯০ হাজার মানুষ। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে দুই হাজার হেক্টর ফসলের মাঠ ও গোচারণ ভূমি,কাচা-পাকা সড়ক ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। নিম্নাঞ্চলে ঘরের ভেতর পানি উঠায় রান্না করা বন্ধ হয়ে গেছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. নায়েব আলী জানিয়েছেন, বন্যা দুর্গতদের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিটি উপজেলায় আগেই ৩৫ মেট্রিকটন চাল ও নগদ ২৭ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এছাড়াও জেলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৪০০ মেট্রিকটন চাল ও নগদ ৮২ লাখ টাকা।
দুর্যোগ মোকাবিলা ১৫৫টি আশ্রয় কেন্দ্র ও ৮০টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এর মধ্য ৭০টি পরিবার আশ্রয় কেন্দ্রে উঠেছে। বন্যা মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে।